সিপ্যানেল ক্লাস: ডোমেইন ও হোস্টিং পরিচিতি।
সিপ্যানেল বিষয় আলোচনা শুরু করার আগে
আমাদের ডোমেইন এবং হোস্টিং বিষয়ক বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে নেয়া উচিত। তাই
প্রথমে আমি ডোমেইন এবং হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করছি। তারপর সিপ্যানেল আলোচনার
দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাবো।
তাহলে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করছি। ক্লাসে সবাইকে প্রশ্ব করতে হবে।
ডোমেইন কি?
ধরা যাক আমি ওয়েবসাইট তৈরি করলাম। এখন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য ভিজিটরদের একটা ঠিকানা জানতে হবে। আর এই ঠিকানাটাই হচ্ছে ডোমেইন নেম। ডোমেইন নেমই আমার ওয়েবসাইটকে অন্য ওয়েবসাইট থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করবে। তাই ডোমেইন নেম হয় ইউনিক, যা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। যেমন- wpbangla.com এটি একটি ডোমেইন। এবং আমরা ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ক বাংলা টিউটরিয়াল ব্লগ হিসেবে একে চিনে থাকি।
ডোমেইন আছে দুই ধরণের টপলেবেল ডোমেইন এবং থার্ড লেবেল। এখন মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে টপ লেবেল আর থার্ড লেবেল ডোমেইন আবার কি?
wpbangla.com এখানে কয়টি অংশ দেখছেন? দুটি অংশ না? এখানের .com টা টপ(সেকেন্ড)লেবেল ডোমেইন নেম।
যদি ডোমেইনটা wpbangla.com.bd এরকম হত তাহলে .bd টা থার্ড লেবেল ডোমেইন। কারণ এখানে তিনটা অংশ এবং .bd টা তৃতীয় অংশে। এবং এটাকে ccTLD ও বলে।
হোস্টিং কি?
ধরা যাক আমি কয়েকটা এইচটিএমএল পেজ দিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলাম। এখন সেগুলো অনলাইনে রাখতে হবে তে ভিজিটররা সেগুলো যখন খুশি চাইলেই দেখতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আমি জানিনা তারা কে কখন আমার সাইটে আসবে। সুতরাং আমার ঐ উপরোক্ত পেজগুলো এমন একটা কম্পিউটারে(বা সার্ভারে) রাখতে হবে যেটা ২৪ ঘন্টাই অনলাইনে থাকবে। ২৪ ঘন্টা অনলাইনে রাখার জন্য দরকার হবে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ, হাই স্পীডের ইন্টারনেট লাইন (কমপক্ষে ১০০ এমবিপিএস। বাংলাদেশের ঠেলাগাড়ি মার্কা ২৫-৩০ কিলোবাইট কোন কাজেই আসবে না), নিরাপত্তা ইত্যাদি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে একটা ওয়েবসাইট চালাতে এত খরচ লাগবে, এত ঝামেলা করা লাগবে? উত্তর হবে “না”। কিছু মানুষ আছে যারা উপরোক্ত কাজগুলো নিজেরাই করে দিবে। অনলাইনে এরাই আপনার-আমার ফাইলগুলো যত্নের সাথে রাখবে। আর যারা এই ফাইলগুলো রাখবে তাদের বলে হোস্ট। আর তারা যে সার্ভিসটা দিচ্ছে সেটাই হচ্ছে হোস্টিং সার্ভিস।
হোস্টিং এর প্রকারভেদ
হোস্টিং তিনপ্রকারের হয়ে থাকে। যথা-
১. শেয়ার্ড হোস্টিং (শেয়ার্ড ও রিসেলার)
২. ভিপিএস
৩. ডেডিকেটেট সার্ভার
১. শেয়ার্ড হোস্টিং:
হোস্টিং কোম্পানীগুলো সাধারণত যে হোস্টিং এর অফার করে থাকে তাই হচ্ছে শেয়ার্ড হোস্টিং। আমি এখানে নিজের ইচ্ছেমত কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারব না। হোস্টিং কোম্পানী আমাকে যা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে দেয় তাই আমাকে ব্যবহার করতে হবে।
২. ভিপিএস
VPS = Virtual Private Server। একটা ফিজিক্যাল সার্ভারকে ভার্চুয়ালাইজেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ভার্চুয়াল কন্টেইনার বা স্লাইস বা নোড তৈরী করা হয়। একেকটা স্লাইস/নোড একেকটা ইন্ডিপেন্ডেট ডেডিকেটেড সার্ভারের মত কাজ করে। এই সব স্লাইসে/নোড সব ধরনের কাজই করা যাবে, সিস্টেম বুঝবেনা সত্যিকারের ফিজিক্যাল হার্ডওয়্যার নাকি ভার্চুয়াল মেশিন-এ চলছে। এইভাবেই কম্পিউটারে উচ্চগতিসম্পন্ন প্রসেসর এবং জাহাজভর্তি মেমরী এবং ডিস্ক যোগ করে একটা মেশিনেই ১৫-২০ টা ভিপিএস ভাড়া দেয় কোম্পানীগুলো।
৩. ডেডিকেটেড সার্ভার
শেয়ার্ড হোস্টিং দিয়ে যখন কাজ হয় না, সাইট স্ট্যাটিক এর বদলে যখন ডায়নামিক হয়, ডেটাবেস ব্যবহার করা হয়, সাইটের ভিজিটর কয়েক হাজার হলেই দরকার হয় নিজস্ব একটা সার্ভার। যা অন্য কেউ শেয়ার করবে না।
হোস্টিং কোম্পানি শেয়ার্ড হোস্টিং বিক্রি করার জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে ইউজারদের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন কন্ট্রোল প্যানেল ব্যবহার করে থাকে। যেমন- কেউ ইন্সটল দেন CPanel কন্ট্রোল প্যানেল আবার কেউ Plesk Panel আবার কেউ Direct Admin কন্ট্রোল প্যানেল ব্যবহার করে থাকে। আবার ফ্রি হোস্টিং এর জন্য অনেক কোম্পানি কাস্টমাইজ প্যানেল ব্যবহার করে থাকে। যাই হোক আজকের ক্লাস এখানেই সমাপ্তি। পরবর্তী ক্লাসে CPanel পরিচিতি তুলে ধরা হবে। ক্লাস কেমন লাগল জানানোর অনুরোধ রইল। আর অবশ্যই প্রশ্ন করতে ভুল করবেন না।
তাহলে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করছি। ক্লাসে সবাইকে প্রশ্ব করতে হবে।
ডোমেইন কি?
ধরা যাক আমি ওয়েবসাইট তৈরি করলাম। এখন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য ভিজিটরদের একটা ঠিকানা জানতে হবে। আর এই ঠিকানাটাই হচ্ছে ডোমেইন নেম। ডোমেইন নেমই আমার ওয়েবসাইটকে অন্য ওয়েবসাইট থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করবে। তাই ডোমেইন নেম হয় ইউনিক, যা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। যেমন- wpbangla.com এটি একটি ডোমেইন। এবং আমরা ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ক বাংলা টিউটরিয়াল ব্লগ হিসেবে একে চিনে থাকি।
ডোমেইন আছে দুই ধরণের টপলেবেল ডোমেইন এবং থার্ড লেবেল। এখন মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে টপ লেবেল আর থার্ড লেবেল ডোমেইন আবার কি?
wpbangla.com এখানে কয়টি অংশ দেখছেন? দুটি অংশ না? এখানের .com টা টপ(সেকেন্ড)লেবেল ডোমেইন নেম।
যদি ডোমেইনটা wpbangla.com.bd এরকম হত তাহলে .bd টা থার্ড লেবেল ডোমেইন। কারণ এখানে তিনটা অংশ এবং .bd টা তৃতীয় অংশে। এবং এটাকে ccTLD ও বলে।
হোস্টিং কি?
ধরা যাক আমি কয়েকটা এইচটিএমএল পেজ দিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলাম। এখন সেগুলো অনলাইনে রাখতে হবে তে ভিজিটররা সেগুলো যখন খুশি চাইলেই দেখতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আমি জানিনা তারা কে কখন আমার সাইটে আসবে। সুতরাং আমার ঐ উপরোক্ত পেজগুলো এমন একটা কম্পিউটারে(বা সার্ভারে) রাখতে হবে যেটা ২৪ ঘন্টাই অনলাইনে থাকবে। ২৪ ঘন্টা অনলাইনে রাখার জন্য দরকার হবে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ, হাই স্পীডের ইন্টারনেট লাইন (কমপক্ষে ১০০ এমবিপিএস। বাংলাদেশের ঠেলাগাড়ি মার্কা ২৫-৩০ কিলোবাইট কোন কাজেই আসবে না), নিরাপত্তা ইত্যাদি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে একটা ওয়েবসাইট চালাতে এত খরচ লাগবে, এত ঝামেলা করা লাগবে? উত্তর হবে “না”। কিছু মানুষ আছে যারা উপরোক্ত কাজগুলো নিজেরাই করে দিবে। অনলাইনে এরাই আপনার-আমার ফাইলগুলো যত্নের সাথে রাখবে। আর যারা এই ফাইলগুলো রাখবে তাদের বলে হোস্ট। আর তারা যে সার্ভিসটা দিচ্ছে সেটাই হচ্ছে হোস্টিং সার্ভিস।
হোস্টিং এর প্রকারভেদ
হোস্টিং তিনপ্রকারের হয়ে থাকে। যথা-
১. শেয়ার্ড হোস্টিং (শেয়ার্ড ও রিসেলার)
২. ভিপিএস
৩. ডেডিকেটেট সার্ভার
১. শেয়ার্ড হোস্টিং:
হোস্টিং কোম্পানীগুলো সাধারণত যে হোস্টিং এর অফার করে থাকে তাই হচ্ছে শেয়ার্ড হোস্টিং। আমি এখানে নিজের ইচ্ছেমত কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারব না। হোস্টিং কোম্পানী আমাকে যা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে দেয় তাই আমাকে ব্যবহার করতে হবে।
২. ভিপিএস
VPS = Virtual Private Server। একটা ফিজিক্যাল সার্ভারকে ভার্চুয়ালাইজেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ভার্চুয়াল কন্টেইনার বা স্লাইস বা নোড তৈরী করা হয়। একেকটা স্লাইস/নোড একেকটা ইন্ডিপেন্ডেট ডেডিকেটেড সার্ভারের মত কাজ করে। এই সব স্লাইসে/নোড সব ধরনের কাজই করা যাবে, সিস্টেম বুঝবেনা সত্যিকারের ফিজিক্যাল হার্ডওয়্যার নাকি ভার্চুয়াল মেশিন-এ চলছে। এইভাবেই কম্পিউটারে উচ্চগতিসম্পন্ন প্রসেসর এবং জাহাজভর্তি মেমরী এবং ডিস্ক যোগ করে একটা মেশিনেই ১৫-২০ টা ভিপিএস ভাড়া দেয় কোম্পানীগুলো।
৩. ডেডিকেটেড সার্ভার
শেয়ার্ড হোস্টিং দিয়ে যখন কাজ হয় না, সাইট স্ট্যাটিক এর বদলে যখন ডায়নামিক হয়, ডেটাবেস ব্যবহার করা হয়, সাইটের ভিজিটর কয়েক হাজার হলেই দরকার হয় নিজস্ব একটা সার্ভার। যা অন্য কেউ শেয়ার করবে না।
হোস্টিং কোম্পানি শেয়ার্ড হোস্টিং বিক্রি করার জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে ইউজারদের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন কন্ট্রোল প্যানেল ব্যবহার করে থাকে। যেমন- কেউ ইন্সটল দেন CPanel কন্ট্রোল প্যানেল আবার কেউ Plesk Panel আবার কেউ Direct Admin কন্ট্রোল প্যানেল ব্যবহার করে থাকে। আবার ফ্রি হোস্টিং এর জন্য অনেক কোম্পানি কাস্টমাইজ প্যানেল ব্যবহার করে থাকে। যাই হোক আজকের ক্লাস এখানেই সমাপ্তি। পরবর্তী ক্লাসে CPanel পরিচিতি তুলে ধরা হবে। ক্লাস কেমন লাগল জানানোর অনুরোধ রইল। আর অবশ্যই প্রশ্ন করতে ভুল করবেন না।
No comments:
Post a Comment
Thanks for ur comments